আজ শনিবার, ১৫ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অনড় অবস্থানে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা

অনড় অবস্থানে

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে যাওয়ার জন্য কেন্দ্রের আলটিমেটাম শেষ হচ্ছে আজ। কিন্তু এই হুঁশিয়ারিকে আমলে নিচ্ছেন না  বিদ্রোহী প্রার্থীরা। স্বতন্ত্র প্রার্থিতার আড়ালে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা বেশিরভাগ বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে থাকার প্রশ্নে অনড় অবস্থানে রয়েছেন শেষ পর্যন্ত। অবশ্য আজকের পর থেকে এসব বিদ্রোহী প্রার্থীকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিস্কারের কথাও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারকরা।

দলের কয়েকজন নেতা অবশ্য বলছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা অতীতের যে কোনো নির্বাচনের চেয়ে অনেক কম। মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় অনেকেই দলীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। তবে দলের আহ্বান বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বেশিরভাগই। দলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন কেউ কেউ। বাকিরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে যাবেন বলেই তাদের বিশ্বাস।

তারা আরও বলেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারকারী নেতারাসহ সিংহভাগ মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাই এখন দল ও মহাজোট মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সর্বাত্মক নির্বাচনী প্রচারণায় রয়েছেন। এবারের নির্বাচনকে দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দলের জন্য অস্তিত্বের নির্বাচন বিবেচনায় এনে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরাও এখন একাট্টা হয়ে দলের নির্বাচনী কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছেন। ফলে ‘অল্প কিছু’ বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে থাকলেও সেটি নির্বাচনে দলের ফলাফলের ওপর খুব বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না। এর পরও যারা শেষ পর্যন্ত মাঠে থেকে যাবেন, দল থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করা হবে তাদের। তখন নেতাকর্মীদের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার ক্ষেত্রে আরও বেশি সুযোগ সৃষ্টি হবে।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বিদ্রোহী প্রার্থী দমনে দলের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও নানা হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও দেশের প্রায় দেড় ডজন আসনে এ ধরনের প্রার্থী রয়ে গেছেন এখনও। মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় দলীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে দেশের কমপক্ষে ৭৬ আসনে ৯৫ নেতা ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হয়েছিলেন। দল ও মহাজোট মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে মনোনয়ন জমা দেওয়া এসব স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে বেশ কিছু নেতার প্রার্থিতা যাচাই-বাছাইকালে বাতিল হয়। পরে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় আরও অনেকেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারও করে নেন।

এসব বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে গত নির্বাচনে দল অথবা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত কয়েকজন এমপিও রয়েছেন। ফলে ওইসব আসন নিয়েই বেশি উদ্বেগ রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারকদের। এ কারণে- বিশেষ করে এসব আসনের বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচনের মাঠ থেকে সরাতে শেষ মূহূর্তের প্রচেষ্টায় রয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়া দলের দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তিন সাংগঠনিক সম্পাদক বিষয়টির দেখভাল করছেন। তবে এখন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ না থাকায় নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়াতে বলা হচ্ছে বিদ্রোহী প্রার্থীদের।

এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত ফরিদপুর-৪ (সদরপুর-ভাঙ্গা-চরভদ্রাসন) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দলের সভাপতিম লীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহর বিরুদ্ধে শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। তিনি গত নির্বাচনে কাজী জাফরউল্লাহর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারের নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। নৌকার প্রার্থী কাজী জাফরউল্লাহর বিরুদ্ধে নিক্সন চৌধুরী লড়ছেন সিংহ প্রতীক নিয়ে। অবশ্য দলের কোনো পদে না থাকায় ‘আজীবন বহিস্কারের’ সিদ্ধান্তের আওতায় থাকার আশঙ্কা নেই তার। এ কারণে তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে রয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন নিক্সন সমর্থকরা।

নরসিংদী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জহিরুল হক ভূঞা মোহন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তার প্রতিপক্ষ হিসেবে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জয়ী হন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। এবারও দলের মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তিনি। স্বতন্ত্র হিসেবে সিংহ প্রতীকে লড়ছে তিনি। গতকাল রোববার সিরাজুল মোল্লা বলেন, এলাকার জনগণের দাবি অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকবেন তিনি। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সরে দাঁড়ানোর জন্য কেন্দ্রের হুঁশিয়ারির কথা স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি বলেন, এমন কোনো ‘মেসেজ’ তিনি পাননি। ফলে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরবেন না।

একইভাবে মাদারীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করলেও সেখানে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আল আমিন মোল্লা সিংহ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। ময়মনসিংহ-৯ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ারুল আবেদিন খানের বিপক্ষে নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ২০০৮ সালে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত এমপি মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম কুড়াল প্রতীকে নির্বাচনী লড়াইয়ে রয়েছেন।

মানিকগঞ্জ-১ আসনে বর্তমান এমপি এ এম নাঈমুর রহমান দূর্জয় আবারও দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ওই আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ প্রকৌশলী এ বি এম আনোয়ারুল হক সিংহ প্রতীকে নির্বাচন করছেন। মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে পৌর মেয়র ফয়সাল বিপ্লবের স্ত্রী চৌধুরী ফাহরিয়া আফরিন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একতারা প্রতীকে ভোটের লড়াইয়ে আছেন।

যশোর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন স্বপন ভট্টাচার্য্য। তিনি ২০১৪ সালে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচিত হন। এবার ওই আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক কায়সার হাসান বারী। ঢাক প্রতীকে নির্বাচন করছেন তিনি। কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। ওই আসনে উপজেলা যুবলীগের নেতা আবদুল্লাহ নজরুল নোঙর প্রতীকে নির্বাচন করছেন। এ ছাড়া গাইবান্ধা-৩ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে ইউসুফ আলী সরকার নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেলেও ওই আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন দলের নেতা আবু জাফর মো. জাহিদ।

এদিকে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও এই আসনের বর্তমান এমপি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। ওই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য এ টি এম পিয়ারুল ইসলাম। তিনি কোনোভাবেই নির্বাচন থেকে সরবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। কয়েকদিন আগে নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারীর সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান পিয়ারুলের সমর্থকরা।

ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির ইয়াসিন আলী জোট প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন। ওই আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ইমদাদুল হক মোটর প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

এ ছাড়া মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেওয়া ২৯ আসনের মধ্যে পাঁচটিতে রয়েছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। রংপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গাঁকে এবারও মহাজোটের প্রার্থী করা হলেও ওই আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আসাদুজ্জামান বাবলু। তিনি দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবার উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। পিরোজপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজী মহাজোটের মনোনয়ন পেলেও ওই আসনে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফুর রহমান মঠবাড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করে আপেল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। একইভাবে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে মহাজোট মনোনীত জাতীয় পার্টির লিয়াকত হোসেন খোকার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল কায়সার, গাইবান্ধা-১ আসনে মহাজোট মনোনীত জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামীম হায়দার পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আফরুজা বারী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এমদাদুল হক এবং লক্ষ্মীপুর-২ আসনে মহাজোট মনোনীত জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ নোমানের বিরুদ্ধে কুয়েত আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বিদ্রোহী হিসেবে এখনও আছেন।

এবারের নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নের শুরুতেই দলীয় ফোরামের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে অথবা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করলে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কার করা হবে। একাধিক সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও বিদ্রোহী প্রার্থীদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছিলেন, নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তাকে দল থেকে আজীবন বহিস্কার করা হবে। পরে আর কখনোই দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে না তাদের।

এই অবস্থায় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময়সীমা পার হওয়ার একদিন আগে ৮ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকারের মূল্যায়নের আশ্বাস দিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজে নামার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। সর্বশেষ শনিবার দলের এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের দুই দিনের মধ্যে অর্থাৎ ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ঘোষণা দিয়ে প্রার্থিতা থেকে সরে যাওয়ার জন্য আলটিমেটাম দিয়ে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই সময়ের মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা না হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একই দিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ফেনীতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘অপেক্ষা করুন। দু-একদিনের মধ্যে দেখবেন তাদের ব্যাপারে (বিদ্রোহী প্রার্থী) কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়!’

অবশ্য একই দিন পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধাচারণকারী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক পদক্ষেপ নিতে শুরু করে আওয়ামী লীগ। কুড়িগ্রাম-৩ নির্বাচনী এলাকায় দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণের অভিযোগে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার হয়েছেন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মতি শিউলী। ওই আসনের জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রার্থী ও তার স্বামী মঞ্জুরুল হকের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন তিনি।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ